Posts

Showing posts from December, 2015

মুফতি বায মিলাদুন্নবী উদযাপন বর্জনীয় বিদআত ও নাজায়েজ প্রমাণ করতে গিয়ে যে চারখানা হাদিস শরীফ উল্লেখ করেছে নিম্নে তার ব্যাখ্যাসহ তার দাবি খণ্ডন করা হল-

Image
মুফতি বায মিলাদুন্নবী উদযাপন বর্জনীয় বিদআত ও নাজায়েজ প্রমাণ করতে গিয়ে যে চারখানা হাদিস শরীফ উল্লেখ করেছে নিম্নে তার ব্যাখ্যাসহ তার দাবি খণ্ডন করা হল- ১.তার উল্লেখিত প্রথম ও দ্বিতীয় হাদিসদ্বয়ের মর্মার্থ প্রায় একই ধরণের। হাদিস শরীফখানা হল এই- عن عائشة رضى الله عنها قالت قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من احدث فى امرنا هذا ما ليس منه فهو رد০ (متفق عليه) অর্থাৎ ‘হযরত আয়েশা সিদ্দিকা আলাইহাস সালাম হতে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন যে, যে ব্যক্তি আমাদের এই ধর্মে এমন কোন নতুন কিছু প্রচলন করল যা ধর্মের মধ্যে নেই তা প্রত্যাখ্যাত হবে। (বুখারী ও মুসলিম শরীফ)’ উপরোক্ত হাদীসে বর্ণিত ما ليس منه (যা ধর্মের মধ্যে নেই) এর ভাবার্থ হলো যা ধর্মের বিপরীত ও ধর্মের পরিবর্তনকারী। যেমন আল্লামা শেখ আব্দুল হক মোহাদ্দিসে দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি ‘আশআতুল লোময়াত’ কিতাবের এ হাদীসের ব্যাখ্যায় লিখেন - ومراد جيزى است كه مخالف ومغير ان باشد অর্থ হাদিস শরীফ দ্বারা এটাই বুঝানো হয়েছে, যা ধর্মের বিপরীত ও ধর্ম পরিবর্তনকারী। শেখ আব্দুল হক মোহাদ্দিসে দেহলভী রহমতুল্লাহি আল...

পিরোজপুরে- ছি ছি বিপিন চাঁদ ঠাকুরের ১৪৩ তম জন্ম বার্ষিকীতে সাইদী বক্তব্য

Image
ধর্মব্যবসায়ী জামায়াত-শিবির কার উম্মত? পিরোজপুরে- ছি ছি বিপিন চাঁদ ঠাকুরের ১৪৩ তম জন্ম বার্ষিকীতে সাইদী বক্তব্য দেয় এবং অাশ্রমে ৫০হাজার টাকা অনুদানের ঘোষনা দেয় ! (নাউযুবিল্লাহ্) (সূত্র: সমকাল- ২১ এপ্রিল ২০০৬) অথচ দেখুন এরাই আবার পবিত্র ঈদে মীলাদুন্নবীর মাহফিলকে বেদাত বলে, আর এই পবিত্র মাহফিল উপলখ্যে খরচ করাকে তারা অপব্যয় বলে চিৎকার করে !

আরবীতে ‘কুল্লু/কুল্লুন’ শব্দের অর্থ হচ্ছে প্রত্যেক।কিন্তু সবসময় এ শব্দটি দ্বারা ‘প্রত্যেক/সকল’ অর্থ বুঝায় না।

Image
আরবীতে ‘কুল্লু/কুল্লুন’ শব্দের অর্থ হচ্ছে প্রত্যেক।কিন্তু সবসময় এ শব্দটি দ্বারা ‘প্রত্যেক/সকল’ অর্থ বুঝায় না। কীভাবে? নীচের হাদীস দুটি লক্ষ্য করুন। একঃ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘কুল্লু বিদ’আতিন দ্বালালাতুন’ এখানে কুল্লু শব্দ এসেছে। আর দুস্টু লা-মাযহাবী বেদ’আতীরা এ শব্দটির সরাসরি অর্থ গ্রহণ করে থাকে। তারা বলে থাকে,এখানে কুল্লু শাব্দের অর্থ প্রত্যেক, আর তখন হাদীসের অর্থ হবে, প্রত্যেক বেদ’আতই ভ্রান্ত। কিন্তু এই শব্দের অর্থ যদি সবসময় আমভাবে প্রত্যেক নেয়া হয়, তবে ঈমান হারানোর প্রচন্ড সম্ভাবনা রয়েছে। কীভাবে? হাদীসটি দেখুন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, কুল্লু আইনিন যানিয়াতুন। অর্থাৎ প্রত্যেক চোখ যিনা তথা ব্যভিচার করে। এখন- চোখ তো আম্বিয়ায়ে কেরামের ও রয়েছে! তাহলে হাদীসে বর্ণিত ‘কুল্লু’ শব্দের অর্থ যদি আমভাবে প্রত্যেক বা সকল ধরা হয়, তখন অর্থ দাঁড়াবে, সকল চোখ যিনা করে এমনকি নবীদের চোখ ও যিনা করে থাকে। নাউযুবিল্লাহ। এজন্যই বিশ্ববিখ্যাত মুহাদ্দিসগণ বলেছেন, ‘কুল্লু’ শব্দটি আমভাবে সকল জিনিষকে অন্তর্ভুক্ত করেনা। বিশ্ববিখ্যাত মুহাদ্দিস, হাফিযুল ...

ইসলাম প্রচারক কে হবেন? প্রকৃত আলিম কে?

Image
মুবাল্লিগে খাছ (বিশেষ দ্বীন প্রচারক), মুবাল্লিগে আম-উনার মত নয়। অর্থাৎ তিনি কেবল তার অধীনস্থদেরই নয় বরং তিনি আমভাবে সকল উম্মতকেই হিদায়েত করার উপযুক্ত। পক্ষান্তরে মুবাল্লিগে আম কেবল তার অধীনস্থদেরই বলার যোগ্যতা রাখেন। আর যাঁরা খাছ মুবাল্লিগ অর্থাৎ বিশিষ্ট প্রচারক, উনাদের প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, ولنكن منكم امة يدتمون الى الخير ويأمرون بالمعروف وينهون عن المنكر واولئك هم المفلحون. অর্থ : “তোমাদের মধ্যে এমন একটি সম্প্রদায় হওয়া জরুরী, যারা (মানুষকে) কল্যাণের (পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ তথা দ্বীন ইসলাম উনার) দিকে ডাকবে এবং সৎ কাজের আদেশ করবে এবং বদ কাজ থেকে নিষেধ করবে, আর তারাই মূলতঃ কামিয়াব।” (পবিত্র সূরা ইমরান শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ, ১০৪) অর্থাৎ তাকে অবশ্যই দ্বীনী বিষয়ে বিশেষ যোগ্যতার অধিকারী হতে হবে এবং ইলমে ফিক্বাহ ও ইলমে তাসাউফে বিশেষ দক্ষতা তথা ফরজ, ওয়াজিব ও সুন্নত পরিমাণ ইলম, আমল এবং ইখলাছ হাছিল করতে হবে। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, فلولا نفر من كل فرقة منهم طائفة ليتفقهوا فى الدين ولينذروا قومهم اذا رجعوا اليهم لعله يحذرو...

সহীহ হাদীস শরীফ দ্বারা প্রমানিত ১২ ই রবিউল আউয়াল সোমবার হচ্ছে ঈদে মীলাদুন্নবী

Image
ধর্মব্যবসায়ী, মুনাফিক,ভন্ড,শ্রেনীর কিছু লোক  মানুষকে ধোঁকা দেওয়ার জন্য বলে থাকে নবীজী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উনার তারিখ নিয়ে মতভেদ আছে। তাই মতভেদ যুক্ত বিষয়ে আমল করা যাবে না অর্থাৎ ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা যাবে না । নাউযুবিল্লাহ !! আসলে এই বাতিল ফির্কাগুলা মুনাফিক হএয়ার কারনে সত্য বিষয় গোপন করে। দেখুন সহীহ হাদীস শরীফে হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফের তারিখ,বার, মাস সবই বর্ণনা করা আছে ।  হাফিজে হাদীস হযরত আবু বকর ইবনে আবী শায়বা রহমাতুল্লাহি আলাইহি যেটা বিশুদ্ধ সনদে হাদীস শরীফে বর্ননা করেন- ﻋﻦ ﻋﻔﺎﻥ ﻋﻦ ﺳﻌﻴﺪ ﺑﻦ ﻣﻴﻦ ﻋﻦ ﺟﺎﺑﺮ ﻭﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻗﺎﻝ ﻭﻟﺪ ﺭﺳﻮﻝ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﻋﺎﻡ ﺍﻟﻔﻴﻞ ﻳﻮﻡ ﺍﻻﺛﻨﻴﻦ ﺍﻟﺜﺎﻧﻲ ﻋﺸﺮ ﻣﻦ ﺷﻬﺮ ﺭﺑﻴﻊ ﺍﻻﻭﻝ অর্থ : হযরত আফফান রহমাতুল্লাহি আলাইহি হতে বর্নিত,তিনি হযরত সাঈদ ইবনে মীনা রহমাতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ননা করেছেন যে, হযরত জাবির ও হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ হস্তি বাহীনি বর্ষের ১২ই রব...

ঈদে মীলাদুন নবীর দলিল পবিত্র কুরআন শরীফেই আছে

Image
১২ রবিউল আ্উয়াল শরীফ উপলক্ষে খুশি করতে হবে, কি না হবে এটা নিয়ে ডিবেট করে। বলে এর কোন দলিল নাই। অথচ পবিত্র কু্রআন পাকেই এ ব্যাপারে স্পষ্ট দলিল আছে, এর ব্যাখ্যার জন্য হাদীস শরীফে যাওয়ার দরকার নাই। আসুন সূরা ইউনুস এর ৫৭ ও ৫৮ নং আয়াত দুটি দেখি  يَا أَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَاءَتْكُم مَّوْعِظَةٌ مِّن رَّبِّكُمْ وَشِفَاءٌ لِّمَا فِي الصُّدُورِ وَهُدًى وَرَحْمَةٌ لِّلْمُؤْمِنِينَ - قُلْ بِفَضْلِ اللَّهِ وَبِرَحْمَتِهِ فَبِذَٰلِكَ فَلْيَفْرَحُوا هُوَ خَيْرٌ مِّمَّا يَجْمَعُونَ অর্থ: “হে মানবজাতি! অবশ্যই মহান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে তোমাদের নিকট এসেছেন নসিহতকারী, অন্তরের পরিশুদ্ধতাদানকারী, হিদায়েত দানকারী ও ঈমানদারদের জন্য রহমত দানকারী। হে রাসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলে দিন, তারা যে মহান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ হতে ‘ফযল ও রহমত’ পেয়েছে সে জন্য তারা যেনো খুশি প্রকাশ করে। নিশ্চয় তাদের এ খুশি প্রকাশ করাটা তাদের সমস্ত সঞ্চয়ের থেকে উত্তম।   (সূরা ইউনুস শরীফ : ৫৭-৫৮) সূরা ইউনুসের ৫৭ ও ৫৮ নং আয়াতে বোঝা যাচ্ছে, মহান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ যে বিষয়টি এসেছে, তার জন্য খুশি প...
Image
রাসূল পাক পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন সমস্ত কায়িনাত বা সৃষ্টি জগতের মূল উৎস। তিনি আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীনের সকল নিয়ামতের উৎস। উনার সন্তুষ্টি ব্যতিত আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি কখনোই পাওয়া সম্ভব নয়। উনাকে যে ব্যক্তি মুহব্বত করে আল্লাহ পাকে তাকে মুহব্বত করেন। আর উনাকে মুহব্বত না করে কারো পক্ষে মু'মিন হওয়া কষ্মিন কালেও সম্ভব নয়। হাদীস শরীফে এরশাদ হয়েছে- لا يؤمن احدكم حتي اكون احب اليه من والده ووالده والناس اجمعين وفي رواية من ماله و نفسه অর্থ : তোমরা কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত মু'মিন হতে পারবে না যতক্ষণ পর্যন্ত সে তার পিতা-মাতা, সন্তান সন্তুতি, এবং সমস্ত মানুষ অপেক্ষা আমাকে বেশি মুহব্বত না করবে। অন্য বর্নায় এসেছে, তার ধন সম্পদ এবং জীবনের চাইতে বেশি মুহব্বত না করবে।" দলীল- √ বুখারী শরীফ ১/৭-কিতাবুল ঈমান- হাদীস নম্বর ১৪ এবং ১৫। এ সহীহ হাদীস শরীফ থেকেই বুঝা গেলো, নবী পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সবকিছুর চাইতে বেশি মুহব্বত করাই হচ্ছে ঈমান। আর নবীজী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মুহব্বতে উনার আগমন উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করাটাই হচ্ছে...
Image
বর্তমানে যারা পবিত্র ঈদে মিলাদুন্ননবীর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে তাদের জিজ্ঞাসা করলে তারাই স্বীকার করবে তাদের একমাত্র পছন্দনীয় ইমাম হচ্ছে ইবনে তাইমিয়া। এরা ইমামে আযম আবু হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে শুরু করে সকল ইমাম মুস্তাহিদ আওলিয়ায়ে কিরামের বিরোধীতা করলেও ইবনে তাইমিয়ার কোন বিরোধীতা করে না। কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে তাদের কোন ফতোয়া যদি নিজেদের মন মত না হয় তবে সেটা সযত্নে গোপন করে রাখে। কিন্তু সত্য কি গোপন রাখা যায়? ওহাবীদের গুরু ইবনে তাইমিয়া (১২৬৩খৃঃ – ১৩২৮খৃঃ) তার কিতাব “ইক্তিদায়ে সিরাতে মুস্তাকীম” এ লিখেছে, যদি কোন ব্যাক্তি হযরত হযরত ঈসা আলাইহিস সালামের অনুসরনে অথবা রসূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মুহব্বতে সম্মান প্রদর্শনের জন্য মিলাদ মাহফিল করে থাকে তবে আল্লাহ এ মুহাব্বত ও সম্মান প্রদর্শনের কারণে সওয়াব বা প্রতিদান দেবেন।” (দলীলঃ ইক্তিদায়ে সিরাতে মুস্তাকীম পৃঃ ২১৯)। একই কিতাবের অন্যত্র সে লিখেছে, “বরং ঐ দিনে (রাসুল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জন্মদিনে) পরিপূর্ণরূপে অনুষ্ঠান করা এবং এ দিনের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা, উত্তম নিয়ত এবং হুজুরে পাক ছল্লাল্লাহু আল...

বিখ্যাত সকল মনীষী ওলী, আউলিয়া এবং স্বয়ং সাহাবায়ে কিরামগন পালন করেছেন, "সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ"

Image
আজকালের নামধারী আলেমগুলো মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ উনাকে বিদআত বলে ফতোয়া দিচ্ছে অথচ বিখ্যাত সকল মনীষী ওলী, আউলিয়া এবং স্বয়ং সাহাবায়ে কিরামগন পালন করেছেন, সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ উনার পক্ষে মত প্রকাশ করেছেন যে সকল বিশ্ব বিখ্যাত আলেমগণ সাইয়্যিদুল আইয়াদ ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম এর পক্ষে মত প্রকাশ করেছেন - * হুজ্জাতুদ দীন ইমাম মুহাম্মদ বিন যুফার আল মাক্কী রহমতুল্লাহি আলাইহি, (সুবুলুল হুদা ওয়ার রাশাদ-১/৩৬৩) * প্রখ্যাত হাদীস বিশারদ আল্লামা ইবনুল জাওযী রহমতুল্লাহি আলাইহি, (বায়ানুল মিলাদুন্নববী-৫৮) * হাফেজ আবুল খাত্তাব বিন দাহিয়াহ কালবী রহমতুল্লাহি আলাইহি, (আল হাওয়ী লিল ফাতাওয়া-২০০) * হাফেজ শামছুদ্দিন আল জাযারী রহমতুল্লাহি আলাইহি, (আল হাওয়ী লিল ফাতাওয়া-২০৬) * ইমাম নববীর ওস্তাদ ইমাম আবু শামাহ, রহমতুল্লাহি আলাইহি (আল বায়িছ আলা ইনকারিল বিদাই ওয়াল হাওয়াদিছ-২৩,২৪) * ওহাবী-সালাফীরা যাকে ইমাম মানেন ইবনে তাইমিয়া, (ইকতেযাউস সিরাতিল মুস্তকিম-৪০৪) * আল্লামা ইবনুল হাজ মালেকী রহমতুল্লাহি আলাইহি, (আল মাদখাল-২/২-৪) * ইমাম যাহাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি, (সিয়ারু আ’লাম...

তাবলীগের অর্থ ও তাবলীগের প্রকার।

মূলতঃ তাবলীগ সম্পর্কে বুঝতে হলে প্রথমে তা কত প্রকার ও কি কি এবং তার অর্থ কি, তা জানতে হবে | তাবলীগ শব্দের অর্থ হলো- প্রচার করা। তাবলীগ দু’প্রকার অর্থাৎ সাধারণতঃ ইসলাম দু’ভাবে প্রচার করা হয়ে থাকে তাবলীগে ‘আম’ বা সাধারণভাবে। তাবলীগে ‘খাছ’ বা বিশেষভাবে। আবার দ্বীন প্রচারকারী মুবাল্লিগ ও দু’প্রকার- মুবাল্লিগে আম (সাধারণ দ্বীন প্রচারক) ও মুবাল্লিগে খাছ (বিশেষ দ্বীন প্রচারক) | মুবাল্লিগে আম ও তার দ্বীন প্রচারের ক্ষেত্রঃ- মুবাল্লিগে আম অর্থাৎ সাধারণ মুবাল্লিগ (দ্বীন প্রচারকারী)- তার বিশেষ কোন যোগ্যতার প্রয়োজন নেই | শুধু দ্বীনী সমঝ বা বুঝ থাকলেই চলবে | সে খাছ বা বিশেষভাবে যেমন ছেলে-মেয়ে, স্ত্রী, ভাই-বোন, ভাতিজা-ভাতিজী ও কর্মচারী তথা তার অধীনস্থ সকলকে দ্বীনী আমলের জন্য তথা দ্বীনদারী হাছিলের জন্য তাকীদ বা উৎসাহিত করবে | এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ্ পাক উনার পবিত্র কুরআন শরীফ-এর সূরা তাহরীমের ৬নং আয়াত শরীফে বলেন, “হে ঈমানদারগণ! তোমরা তোমাদেরকে এবং তোমাদের পরিবারবর্গকে আগুণ (জাহান্নাম) থেকে বাঁচাও |" আর বুখারী শরীফ উনার পবিত্র হাদীস শরীফে আল্লাহ্ পাক উনার রসূল সাইয়্য...

ঐতিহাসিক সুমহান ‘আখিরী চাহার শোম্বাহ’ ছফর মাসের শেষ ইয়াওমুল আরবিয়ায়ি বা বুধবার শরীফ। যা কুল কায়িনাতের সকলের জন্য এক সুমহান ঈদ বা খুশির দিন।

Image
পবিত্র আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ উনাকে নিয়ে আমাদের দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট খুবই অবহেলার। কোনো পত্র-পত্রিকা মিডিয়া ফলাও করে বলে না, লিখে না যে আজ পবিত্র আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ। বলে না যে, আজকের আমলে মুসলমানদের জন্য এই এই ফযীলত। তুলে ধরে না এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য। কোনো স্কুল-কলেজ অধিকাংশ মাদরাসার শিক্ষকগণ ও শিক্ষার্থীদের জানায় না যে, আগামীকাল বা আজ মুসলমানদের ঐতিহ্যবাহী পবিত্র আখিরী চাহার শোম্বাহ । তোমরা বাড়িতে গিয়ে এটা-সেটা করবে। পিতা-মাতা আত্মীয়-স্বজনকে উৎসাহিত করবে। এছাড়া অভিভাবক মহলও কেমন যেন, তারাও খবর রাখে না আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ কি, কখন, কেমনইবা তার আমল। মূলত, এগুলোর মাধ্যমে মুসলমান উনাদের হীনতা-দীনতা তথা হীনম্মন্যতাই ফুটে উঠেছে। মুসলমান উনাদের ঐতিহ্য ভুলে যাবে, স্বকীয়তাকে বিনষ্ট করে দিবে, শুধু দুনিয়া তালাশে ব্যস্ত থাকবে, আবার নিজেকে মুসলমান ঈমানদার বলে দাবি করবে, সেটা হতে পারে না। উনাদেরকে অবশ্যই নিজেদের পবিত্র দ্বীন ইসলামের ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে হবে, বুঝতে হবে এবং সেগুলোকে যথাযথ মর্যাদার সাথে উদযাপনের চেষ্টা করতে হবে। ‘আখির’ শব্দটি ভাষাগত দিক থেকে আরব...