জাকির নায়েক নামক এক ডাক্তার যিনি টিভি মুল্লা নামে পরিচিত, তিনি ইসলাম সম্পর্কে অপব্যাখ্যা করেই যাচ্ছেন যা সাধারণ মুসলমান যারা পবিত্র কোরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ সম্পর্কে পূর্ণরূপে অবগত নয় তারা তা ধরতে না পেরে বরং তার অন্ধ অনুসরণ আর পূজা করে যাচ্ছে। নায়েক সাহেব এমন কিছু মন্তব্য করেছেন যা কোন ইমানদার শুনলে তার গা শিউরে উঠবে তাই আজ সামান্য কিছু বিষয় আপনাদের সম্মুখে উপস্থাপন করবো যা আপনাদের প্রমান করে দেবে তিনি আসলে কোরআন সুন্নাহর অনুসারী নাকি বিরোধী।
তিনি বলেছেন মহান আল্লাহ পাক পবিত্র কুরআন শরীফের ২৫ যায়গায় উসিলা তালাশ করা হারাম বলেছেন অথচ একটার ও রেফারেন্স তিনি দেননি এবং ডাইরেক্ট মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে চাইতে হবে কারো উসিলা নেওয়া যাবেনা এমনকি রাসুলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার ও না অথচ পবিত্র কুরআন শরীফের মধ্যে মহান আল্লাহ পাক বলেন, “হে ঈমানদারগণ! তোমরা আমাকে পাওয়ার জন্য উসিলা তালাশ করো”। (সূরা আল মায়িদা, আয়াত শরীফ ৩৫)
শুধু কি তাই? নিচের ভিডিওগুলো দেখুন কিভাবে তিনি মিথ্যাচারে ধরা খেয়েছেন এবং মিথ্যাবাদি প্রমানিত হয়েছেন।
আর উসিলা নিয়ে পবিত্র হাদীস শরিফে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনি একটি হাদিসে কুদসি শরীফ বর্ণনা করেছিলেন (আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্নিত হয়েছে হাসিদ শরীফটি) যেখানে তিনি বলেন যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেনঃ “আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা ভালোবাসেন উনার সৃষ্টিকে যে খোঁদাভীরু, যার অন্তর পরিশুদ্ধ, তাদেরকে যারা নিজেদের গোপন রাখে এবং তাদেরকে যারা নিরোপরাধ, যার মুখমন্ডল ধূলো-মলিন, যার চুল এলোমেলো, যার পেট খালি এবং সে যদি শাসকের সাথে দেখা করার অনুমতি চায় তাহলে তাকে তা দেয়া হয় না। এবং সে যদি একটু সম্ভ্রান্ত ঘরের মেয়ে বিয়ে করতে চায় তাহলে তাকে ফিরিয়ে দেয়া হয় এবং সে যদি দুনিয়ার কিছু ত্যাগ করে এর অভাব কখনোই সে বোধ করে না।এবং সে যদি কোনো মজলিশ থেকে বের হয়ে যায় তাহলে তার বের হয়ে যাওয়া ও কেউ লক্ষ্য করে না। সে যদি অসুস্থ হয়, তাহলে তাকে দেখতে কেউ আসে না এবং সে যদি মারা যায় তাহলে তাকে কবর পর্যন্ত পৌঁছে দিতেও কেউ আসে না।”
এই হাদিস শরীফ শুনে সাহাবায়ে কেরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনারা তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করেছিলেনঃ “ইয়া রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, এরকম একজন ব্যক্তিকে আমরা কিভাবে খুঁজে পাবো?
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনি বল্লেনঃ ওয়াইস আল কারনি হচ্ছেন এমনই একজন ব্যক্তি।
তখন সাহাবায়ে কেরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনারা জিজ্ঞেস করলেনঃ কে এই ওয়াইস আল কারনি?
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বল্লেনঃ উনার গাত্র বর্ণ কালো, কাঁধ প্রশস্থ, উচ্চতা মাঝারি, উনার দাঁড়ি উনার বুক পর্যন্ত লম্বা, উনার চোখ সবসময় অবনমিত থাকে সেজদার স্থানে।উনার ডান হাত থাকে তার বাম হাতের ওপর। তিনি একান্তে এমনভাবেই কাঁদেন যে উনার ঠোঁট স্ফীত হয়ে যায়। তিনি একটি উলের পোশাক পরেন এবং আসমানের উপরের সবাই উনাকে চেনেন। যদি তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার নামে কোনো শপথ করেন, তিনি তা পালন করেন।উনার ডান কাঁধের নিচে একটি সাদা দাগ রয়েছে। যখন আখেরাতের দিন আসবে এবং মহান আল্লাহ পাক উনার বান্দাদেরকে বলা হবে জান্নাতে প্রবেশ করো, তখন ওয়াইস আল কারনি রহিমাহুল্লাকে বলা হবে ‘দাঁড়ান এবং সুপারিশ করুন’ মহান আল্লাহ পাক তখন উনার সুপারিশ অনুযায়ী ‘মুজির’ এবং ‘রাবিয়া’ (ওয়াইসের দুই গোত্রের নাম) গোত্রের লোক সংখ্যার সমান লোককে ক্ষমা করে দেবেন। সুতরাং হে হযরত ওমর ফারুক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিমুস সালাম, আপনারা যদি কখনো উনার দেখা পান তাহলে উনাকে বলবেন আপনাদের জন্যে মহান আল্লাহ পাকের কাছে সুপারিশ করতে, তাহলে মহান আল্লাহ পাক, উনার উসিলায় আপনাদের ক্ষমা করেদেবেন।” [সহিহ মুসলিম শরীফ]
দেখা গেলো দুনিয়া আখেরাতে শুধু রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনি নন ওয়াইস আল কারনি রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার মতো একজন অলি পর্যন্ত সুপারিশ করার ক্ষমতা রাখেন এবং উনার উসিলায় ক্ষমা পাওয়া যায় অথচ জাকির সাহেব বললেন নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উসিলা তালাশ করা হারাম (নাউযুবিল্লাহ) আর কেয়ামতের দিন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনি ছাড়া কেউ সুপারিশ করার ক্ষমতা রাখেনা। চিন্তা করেন কতবড় মিত্যাচার।
এই জাকির নায়েক সাহেব আরো বলেছেন যে রাসুল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মৃত এবং উনাকে মানা নাকি আজকের দিনেও হারাম প্রমাণ স্বরূপ এই ভিডিওটি দেখুন আর চিন্তা করুন কিভাবে তিনি মানুষকে ধোঁকা দিচ্ছেনঃ
তিনি বল্লেন রাসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মৃত তাই উনাকে মানা হারাম অথচ মহান আল্লাহ পাক বলেনঃ যারা মহান আল্লাহ পাক ও উনার রাসূল আলাইহিমুস সালামগণকে অস্বীকার করে এবং মহান আল্লাহ পাক ও উনার রাসূল আলাইহিমুস সালামগণের মধ্যে তারতম্য করতে ইচ্ছা করে এবং বলে- আমরা কিছু মানি-কিছু মানিনা এবং মহান আল্লাহ পাক তিনি ও উনার রাসূল আলাইহিমুস সালামগণের মধ্যবর্তী তৃতীয় রাস্তা উদ্ধাবন করতে চায়-তারাই পাক্কা কাফের।''
দলিল সূত্রঃ সূরা নিসা শরীফঃ আয়াত শরীফ ১৫০।
এবার আসুন জেনে নেই নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনি কি আসলেই মৃত? নাকি জীবিত হায়াতুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম?
রাসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আলমে বরযখে নিজ রওজা শরীফে মুবারকে স্বশরীরে জীবিত আছেন এবং যখন কেউ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি দরূদ শরীফ ও সালাম পাঠ করে তখন সেই ব্যক্তির পক্ষ থেকে তা ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের মাধ্যমে মহান আল্লাহ পাক তিনি রাসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট পৌঁছে দেন এবং তিনিও তা গ্রহণ করেন। এছাড়া যদি কেউ রওযা শরীফ মুবারকের নিকট এসে সালাত ও সালাম পাঠ করে তাহলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনি তা সরাসরি গ্রহণ করেন।
দলিল সূত্রঃ সহিহ মুসলিম শরীফ, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা-১৭৮/ সুনানু বাইহাকি শরীফ, হাদিস শরীফঃ ১৫৮৩/ সুনানু দারিমি শরীফ, হাদিস শরীফঃ ২৭।
হযরত আবু দারদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মোবারক করেছেনঃ তোমরা পবিত্র জু’মআ শরীফের দিন বেশি বেশি করে দুরুদ শরীফ পাঠ করো। নিশ্চয় ফেরেস্তা আলাইহিমুস সালামরা তোমাদের এই উপর স্বাক্ষী থাকবেন। আর যখন কেউ আমার উপর দুরুদ শরীফ পাঠ করে তখনই তা আমার নিকট পেশ করা হয়। আবু দারদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন-আমি জিজ্ঞাসা করলাম-মৃত্যুর পরেও কি তা পেশ করা হবে? উত্তরে তিনি বললেন-হ্যাঁ!, কেননা মহান আল্লাহ তায়ালা জমিনের জন্য নবী রাসুল আলাইহিমুস সালামদের দেহ ভক্ষণ করা হারাম করে দিয়েছেন।
দলিল সূত্রঃ ইবনে মাজাহ শরীফ,, হাদীস শরীফ, নং-১৬৩৭, ১৬৩৬। সুনানুস সাগীর লিল বায়হাকী শরীফ, হাদীস শরীফ, নং-৪৬৯। আল মুজামুল আওসাত শরীফ, হাদীস শরীফ, নং-৪৭৮০। সুনানে দারেমী শরীফ, হাদীস শরীফ, নং-১৫৭২, মুসনাদুল বাজ্জার শরীফ, হাদীস নং-৩৪৮৫। মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা শরীফ, হাদীস শরীফ নং-৫৭৫৯।
আর এই হাদীস শরীফ দ্বারা সুষ্পষ্ট প্রমাণ করেন যে, নবী রাসুল আলাইহিমুস সালামগণ উনারা উনাদের রওজা শরীফে জীবিত।
আর শুধু রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নন সমস্থ নবী রাসুল আলাইহিইমুস সালাম কবরে জীবিত যেমনঃ হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন যে রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনি ইরশাদ মোবারক করেছেন যেঃ নবী রাসুল আলাইহিমুস সালাম উনারা কবরে জীবিত। আর তারা সেখানে নামায পড়েন।
দলিল সূত্রঃ মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস শরীফ নং-৬৮৮৮, মুসনাদে আবী ইয়ালা, হাদীস শরীফ নং-৩৪২৫, সহীহ কুনুযুস সুন্নাতির নববিয়্যাহ, হাদীস শরীফ নং-২২।
তবে সেটা বারযাখী জীবন, যা সাধারণ মানুষের জ্ঞানের বাইরে। ঐ ছালাত দুনিয়াবী ছালাতের সাথে তুলনীয় নয়।
অথচ রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনি এবং নবী রাসুল আলাইহিমুস সালাম উনারা তো অনেক দূর বরজখের জিন্দেগিতে শহিদ এবং অলি আল্লাহগন উনারাও জিবিত নন শুধু বরং সাথে জান্নাতি মেহমানদারি স্বরূপ রিজিক ও দেওয়া হয় উনাদের যেমনঃ
পবিত্র কুরআন শরীফে মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেনঃ আর যারা(আলি আল্লাহগন) মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় নিহত হন, তাদেরকে মৃত বলো না। বরং তারা জীবিত, কিন্তু তোমরা তা বুঝ না।
দলিল সূত্রঃ সূরা বাক্বারা শরীফঃ আয়াত শরীফঃ ১৫৪।
আরো দেখুন পবিত্র আল কোরআনে মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেনঃ “আর যারা মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় নিহত হয়েছেন তাদেরকে তোমরা মৃত বলো না বরং তারা জীবিত এবং তাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে তাদের জীবিকা প্রদান করা হয়। মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজের অনুগ্রহ থেকে যা তাদের দান করেছেন তার পরিপ্রেক্ষিতে তারা আনন্দ উদযাপন করছেন। আর যারা এখনও তাদের কাছে এসে পৌঁছেনি তাদের পেছনে তাদের জন্যে তারা আনন্দ প্রকাশ করে। কারণ, তাদের কোনো ভয় ভীতি নেই এবং কোনো চিন্তা পেরেশানি ও নেই। ।” (সূরা আলে ইমরান শরীফঃ আয়াত শরীফ ১৬৯-৭০)
আয়াত শরীফে বর্ণিত নিহতরা মৃত নন বরং মৃত্যুর পরেও জীবিত এবং এরাই শহীদ নামে পরিচিত। আর জীবিতদেরই খাদ্যের প্রয়োজন হয়, যা দান করা হয় মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ হতে যা তিনি বলেই দিয়েছেন।
আসলে জাকির নায়েক সাহেব যে খুব সুক্ষভাবে আমাদের ঈমান লুটে নিচ্ছেন তা সাধারণ অজ্ঞ মানুষের জ্ঞানসীমার বাহিরে। আর এই কারনে এই রকম ভন্ড ইমামদের ব্যপারে নূরে মুজাসসাম হাবিবুল্লাহ হুযুরপাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনি এরশাদ মোবারক করেন যেঃ আমার পর অনেক ইমাম বের হবে। তারা আমার হিদায়েতের উপর চলবে না এবং আমার সুন্নতের আমল করবে না। তাদের মধ্যে এমন সব লোক পয়দা হবে যাদের অন্তর শয়তানের মতো অথচ আকৃতিতে এরা মানুষ।
√ মুসলিম শরীফ ২/১২৭, হাদীস শরীফ নং ১৮৪৭।
এখন আসি মুল কথায় আজকাল মানুষ জাকির নায়ক সম্পর্কে একটু বেশী ইমোশনাল অথচ এরা মনেহয় জিবনেও কোরআন সুন্নাহ ঘাটায়নি। আসুন আজকে তার সম্পর্কে সামান্য আলচনা করি।
১) পবিত্র হাদিস শরীফ অনুসারে এবং মাজুর হওয়া ব্যতীত ছবি তোলা হারাম তাহলে জাকির নায়েক কিভাবে অহরহ হারাম ছবি, তোলছেন? ভিডিও করছেন? শুধু তাই নয় বরং এই হারাম কাজ গুলোকে হালাল যায়েজ ও করে দিয়েছেন অনায়াসে।
দলিলঃ- পবিত্র হাদিস শরিফে বলা হচ্ছে { عن ابن عباس رضى الله تعالى عنه قال قال رسول
الله صلى الله عليه وسلم كل مصور فى النار.} অর্থঃ হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মোবারক করেন, “প্রত্যেক ছবি তুলনে ওয়ালা জাহান্নামী।” নাঊযুবিল্লাহ!
দলিল সূত্রঃ- (মুসলিম শরীফ) (মিশকাত শরীফ-৩৮৫, মিশকাত শরীফ পৃঃ ৩৮৬, বুখারী শরীফ ২য় জিঃ, পৃঃ ৮৮০, বুখারী শরীফ ২য় জিঃ পৃঃ ৮৮১, মুসলিম শরীফ ২য় জিঃ পৃঃ ২০০, মুসলিম শরীফ ২য় জিঃ, পৃঃ২০১, মুসলিম শরীফ ২য় জিঃ পৃঃ ২০২, তিরমিযি ১ম জিঃ পৃঃ ২০৭, আবু দাউদ শরীফ ২য় জিঃ পৃঃ ২১৯, মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়বা ২য় জিঃ পৃঃ৪৬ মুসনদে আহ্মদ ২য় জিঃ পৃঃ২১৭, মুছান্নেফ ইবনে আবী শায়বা ৮ম জিঃ পৃঃ২৯৬, তাহাবী ২য় জিঃ পৃঃ ৩৬৩ বুখারী, কিতাবুললিবাছ, বাবুত তাছাবীর, ২য় জিঃ ৮৮০ পৃষ্ঠা}
২) পবিত্র কোরআন, সুন্নাহ উনাদের অনুসারে বেপর্দা হওয়া হারাম মাজুর হওয়া ব্যতীত, তাহলে কিভাবেঃ জাকির নায়েক লক্ষ লক্ষ বেপর্দা নারী দের সাথে অহরহ কথা বলছে, ভিডিও করছে যা হারাম, টিভি প্রগ্রাম করছে যা হারাম এবং জিনা???
দলিল সূত্রঃ- (সূরা আন নুরঃ আয়াত শরিফ ৩০) (সূরা আন নুরঃ আয়াত শরিফ ৩১) (সূরা আল আহযাব আয়াত শরিফ ৩২, ৩৩, ৫৯) (সুনানে আত-তিরমিজি ও ইবনে হিব্বান।) আর জিনা হারাম। দলিলঃ সহীহ আল-বুখারী, সহীহ আল-মুসলিম, সুনানে আবু দাউদ, সুনানে আন-নাসায়ী।
আর ইসলামে যিনা হারামঃ (সূরা বনী ইসরাঈলঃ আয়াত শরিফ ৩২)
এখন কেউ কি কোরআন সুন্নাহর দলিল দিয়ে আমাকে বুঝিয়ে দিতে পারবেন যে উপরে যা দেওয়া হয়েছে তা ভূল? আছেন এমন কোনো জ্ঞানি ব্যক্তি? থাকলে ভূল ধরিয়ে আমাদের পরিশুদ্ব করুন আর যদি না পারেন তাহলে নিজে পরিশুদ্ব হোন।
Comments
Post a Comment