পবিত্র ইসলাম ধর্মে আল্লাহ্ সুবাহানাহু ওয়া তায়ালা উনাকে পাবার জন্য উসিলা তালাশ করার প্রয়জনিয়তা কেনো এবং কতটুকু তা নিচে বর্ণনা করা হলো।
১) আল্লাহ্ কুরআন এ পাকের সুরা কাহাফ এর ১৭ নং আয়াত এ বলেন- আল্লাহ্ যাকে হেদায়াত দান করেন তিনি হেদায়াত পায়, তিনি যাহাকে পথ ভ্রষ্ট করিতে চান তিনি কখনও মুর্শিদ(কামেল পীর) পাবে না।
২) সুরা তওবার ১১৯ নাম্বার আয়াত এ বলেন-হে ইমানদার রা তোমরা আল্লাহ্ পাক কে ভয় কর এবং সাদেকিন বা সত্যবাদীদের সঙ্গী হও। এই খানে সাদেকিন বলতে অলিদের কে বুঝান হয়েছে।
৩ ইয়া আইয়ুহাল লাজিনা আ-মানুত’তাকুল্লাহা ওয়াবতাগু ইলাহিল ওয়াসিলাতা (সূরা মায়িদা,আয়াত ৩৫) অর্থাৎঃ- হে, বিশ্বাসীগন আল্লাহ্কে ভয় কর,তাকে পাওয়ার জন্য উসিলা গ্রহন কর।
৪) রাসুলুল্লাহ্ সাঃ স্বয়ং জনৈক অন্ধ সাহাবীকে এভাবে দোয়া করতে বলেছিলেন, আল্লাহ্ আমি রহমতের নবী মুহাম্মাদের নামের ওছিলায় তোমার কাছে প্রার্থনা করছি। সুরা মায়েদার ৩৫ নং আয়াতের ব্যাখ্যায়।
৫) আল্লাহ্ বলেন, " স্মরণ কর এই দিনকে যেদিন আমি প্রত্যেক ব্যাক্তিকে তার ইমামের সাথে আহবান করবো । ( সুরা বনি ইসরাইল, আয়াত-৭১)।
৬) হযরত নুমান বিন বাশীর (রা.) বলেন, নবীজী সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ "শুনে রেখো নিশ্চয়ই শরীরেএমন একটি গোশতের টুকরা আছে যখনতা সুস্থ থাকে তখন গোটা শরীরই সুস্থথাকে। আর যখন তা রোগাক্রানত্ম থাকে তখন গোটা শরীরই অসুস্থ থাকে। শুনে রেখো সেই গোশতের টুকরা হল কলব তথা আত্মা। [সহিহ বুখারী হাদিস .নং-৫২]।
৭) আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: আল্লাহ্ তা’আলা বলেন: যে ব্যক্তি আমার অলীর সাথে শত্রুতা করে, আমি তার সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করছি। আমার বান্দার প্রতি যা ফরয করেছি তা দ্বারাই সে আমার অধিক নৈকট্য লাভ করে। আমার বান্দা নফল কাজেরমাধ্যমেও আমার নৈকট্য লাভ করতে থাকে।অবশেষে আমি তাকে ভালবেসে ফেলি। যখন আমি তাকে ভালবাসি, তখন আমি তার কান হয়ে যাইযা দিয়ে সে শোনে, তার চোখ হয়ে যাই যা দিয়ে সে দেখে, তার হাত হয়ে যাই যা দিয়ে সে ধরে এবং তার পা হয়ে যাই যা দিয়ে সে চলাফেরা করে। সে আমার কাছে কিছু চাইলে, আমি তাকে তা দেই। সে যদি আমার নিকট আশ্রয় কামনা করে, তাহলে আমি তাকে আশ্রয় দেই।আমি যা করার ইচ্ছা করি, সে ব্যাপারে কোন দ্বিধা- দ্বন্দ্বে ভুগি না কেবল মুমিনের আত্মার ব্যাপার ছাড়া। সে মৃত্যুকে অপছন্দ করে আর আমি তার মন্দকে অপছন্দ করি। [বুখারী: ৬৫০২]
৮) যদি তোমরা না যান তবে আহলে জিকির বা আল্লাহওয়ালা দের থেকে জেনে নাও। সুরা নাহল ৪৩ ও সুরা আম্বিয়া ৭
এর পরেও যারা নবি রাসূল আলাইহিমুস সালাম, অলি আওলিয়া উনাদের উসিলাকে হারাম বলবে তারা তখন মুসলমান থাকবে কি থাকবেনা তা একমাত্র আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন তিনি ভালো জানবেন।
এর পরেও যারা নবি রাসূল আলাইহিমুস সালাম, অলি আওলিয়া উনাদের উসিলাকে হারাম বলবে তারা তখন মুসলমান থাকবে কি থাকবেনা তা একমাত্র আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন তিনি ভালো জানবেন।
Comments
Post a Comment