Posts

Showing posts from May, 2017

তিরমিযী শরীফে ইমাম তিরমিযী রহমতুল্লাহি আলাইহি ২০ রাকাত তারাবীর নামাজের কথা বলেছেন।

Image
ইমাম তিরমিযী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, قال الترمذى وَأَكْثَرُ أَهْلِ الْعِلْمِ عَلَى مَا رُوِيَ عَنْ عُمَرَ وَعَلِيٍّ وَغَيْرِهِمَا مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم عِشْرِينَ رَكْعَةً ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَابْنِ الْمُبَارَكِ وَالشَّافِعِيِّ ‏.‏ وَقَالَ الشَّافِعِيُّ وَهَكَذَا أَدْرَكْتُ بِبَلَدِنَا بِمَكَّةَ يُصَلُّونَ عِشْرِينَ رَكْعَةً ‏ ইমাম তিরমিযী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুগণ উনাদের মধ্য হতে হযরত ওমর ইব্নুল খাত্তাব আলাইহিস সালাম, হযরত আলী আলাইহিস সালাম ও অন্যান্যদের হতে তারাবীহ্ নামায বিশ রাকায়াত হওয়ার যে বর্ণনা পাওয়া যায়, অধিকাংশ আলেমগণ উহাই গ্রহণ করেন। আর ইমাম সুফিয়ান ছাওরী, ইবনুল মোবারক, শাফেয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহিগণের এটাই অভিমত, অর্থাৎ তারাবীহ্ নামায বিশ রাকায়াত। তিনি আরো বলেন, আমি মক্কা শরীফে লোকদেরকে বিশ রাকায়াত তারাবীহ্ নামায পড়া অবস্থায় পেয়েছি। (তিরমিযী শরীফ- কিতাবুছ ছিয়াম, বাবু কিয়ামী শাহরি রমাদ্বান : হাদীস ৮০৬) ...

লা’মাযহাবীদের তারাবীর ৮ রাকাতের পক্ষে একমাত্র দলীল, দলীল হিসাবে বিবেচ্য নয়।

হযরত আয়েশা ছিদ্দীকা আলাইহাস সালাম উনাকে কে জিজ্ঞাসা করা হলো, রমাদ্বান মাসে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নামায কেমন হত? তিনি উত্তরে বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমাদ্বানের এবং রমাদ্বানের বাইরে এগার রাকাতের বেশি পড়তেন না। (সহীহ বুখারী ১/১৫৪) এই হাদীস শরীফ খানা মূলত তাহাজ্জুদ নামাজের দলীল। কারন হাদীছ শরীফে বলা হচ্ছে রমাদ্বান ও রমাদ্বানের বাইরে ৩ রাকাত বিতির সহ ১১ রাকাত পড়তেন। রমাদ্বান মাস ব্যতীত অন্য মাসে তারাবী পড়া নেহায়েত হাস্যকর কথা। এখন যেহেতু সালাফীদের কাছে আর কোন দলীল নেই তাই তারা তাহাজ্জুকে তারাবী বলে চালাচ্ছে। এবার দেখুন অন্য একটি সহীহ হাদীছ শরীফে বর্ণিত আছে, حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ ، وَمُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ الْمُرَادِيُّ ، قَالاَ : حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي قَيْسٍ ، قَالَ : قُلْتُ لِعَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا : بِكَمْ كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يُوتِرُ ؟ قَالَتْ : كَانَ يُوتِرُ بِأَرْبَعٍ وَثَلاَثٍ ، وَسِتٍّ وَثَلاَثٍ ، وَثَمَانٍ وَثَلاَث...

বিদয়াতীরা , আট রাকায়াত তারাবীহর স্বপক্ষীয় দলীলগুলোর সুস্পষ্ট ও গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা না দিতে পেরে বলে থাকে যে, তারাবীহ্ নামায ও তাহাজ্জুদ নামায একই নামায। রমযান মাসে এটাকে তারাবীহ্ বলে ও রমযান ব্যতীত অন্য মাসে তাহাজ্জুদ বলে।

বিদয়াতীরা , আট রাকায়াত তারাবীহর স্বপক্ষীয় দলীলগুলোর সুস্পষ্ট ও গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা না দিতে পেরে বলে থাকে যে, তারাবীহ্ নামায ও তাহাজ্জুদ নামায একই নামায। রমযান মাসে এটাকে তারাবীহ্ বলে ও রমযান ব্যতীত অন্য মাসে তাহাজ্জুদ বলে। মূলতঃ বিদয়াতীদের উপরোক্ত বক্তব্য এটাই প্রমাণ করে যে, তারা অর্থাৎ বিদয়াতীদের শরীয়তের ইলম সম্পর্কে নেহায়েতই অজ্ঞ। কারণ, তারাবীহ্ ও তাহাজ্জুদ নামায একই নামায নয়। প্রথমতঃ এটা তারাবীহ্ ও তাহাজ্জুদ শব্দের অর্থ দ্বারা স্পষ্ট প্রমাণিত হয়। ১। তারাবীহ্ শব্দের তাহক্বীক্বী অর্থঃ- والترويحة فى شهر رمضان= سميت بذالك لا ستراحة القوم بعد كل اربغ ركعات- وفى الحديث صلاة التراويح لا نهم كانوا يستر حون بين كل تسلمتين- والتراويح جمع ترويحة= (لسان العرب ج১ صفه ১৭৬৮، وكذافى القاموس المحيط. অর্থঃ- রমযান মাসে (তারাবীহ্ নামাযে) প্রতি চার রাকায়াত পর মুসল্লীদের বিশ্রাম নেয়াকে “তারবীহাতুন বলে। প্রতি চার রাকায়াত পর পর মুসল্লীরা বিশ্রাম নেয় বলেই এটাকে তারাবীহ্ নামায বলে। আর “তারাবীহ্” বহুবচন হলো “তারবীহাতুন”-এর। (লিসানুল আরব ১ম জিঃ পৃষ্ঠা-১৭৬৮, অনুরূপ কামূস আল মুহীতে উল্লেখ আছে) ...