অনেকে বলে থাকে যে, শরীয়তে ঈদ মাত্র ২টি-
১) ঈদুল ফিতর ও
২) ঈদুল আদ্বহা ।
-
মূলতঃ তাদের এ বক্তব্য শুধু অশুদ্ধই নয়, বরং কুফরিফ অন্তর্ভুক্ত । কারণ, শরীয়তে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আদ্বহা এ দু’টি ঈদ ছাড়াও আরো ঈদের অস্তিত্ব রয়েছে ।
-
হাদিস শরীফে আরো ইরশাদ হয়েছে ,
عن حضرت عبيد بن السباق رضي الله عنه مرسلا قال قال رسول الله صلي الله عليه و سلم في جمعة من الجمع يا معشر المسلمين ان هذا يوم جعله الله عيدا
অর্থ : হযরত ওবায়িদ বিন সাব্বাক রদ্বিয়াল্লাহু আনহু মুরসাল সূত্রে বর্ননা করেন, হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক জুমুয়ার দিন বলেন, হে মুসলমান সম্প্রদায় ! এটি এমন একটি দিন যাকে মহান আল্লাহ পাক ঈদ স্বরূপ নির্ধারণ করেছেন | ( মিশকাত শরীফ , ইবনে মাজাহ , মুয়াত্তা ইমাম মালিক )
-
হাদীছ শরীফ-এ আরো ইরশাদ হয়েছে-
عن حضرت عبيد بن عباس رضى الله تعالى عنه انه قرا اليوم اكملت لكم دينكم الاية وعنده يهودى فقال لو نزلت هذه الاية علينا لاتخذناها عيدا فقال ابن عباس رضى الله تعالى عنه فانها نزلت فى يوم عيدين قى يوم جمعة ويوم عرفة
অর্থাঃ “হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি একদা-
اليوم اكملت لكم دينكم الاية
“আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণ করে দিলাম” এ আয়াত শরীফখানা শেষ পর্যন্ত পাঠ করলেন । তখন উনার নিকট এক ইহুদী ছিল সে বলে উঠলো, “যদি এম্ন আয়াত শরীফ আমাদের ইহুদী সম্প্রদায়ের প্রতি নাযিল হতো, আমরা আয়াত শরীফ নাযিল দিনটিকে ঈদের দিন হিসেবে ঘোষণা করতাম ।” এটা শুনে হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বললেন, এ আয়াত শরীফ সেই দিন নাযিল হয়েছে যেদিন এক সাথে দু’ঈদ ছিল-
(১) জুমুয়ার দিন এবং
(২) আরাফার দিন ।” (তিরমিযী শরীফ)
-
উপরোক্ত হাদীছ শরীফ-এ জুমুয়ার দিন ও আরাফার দিন অর্থাৎ ৯ই যিলহজ্জের দিনকে ঈদের দিন হলা হয়েছে ।
-
অন্য হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন-
لكل مؤمن في كل شهر اربعة اعياد اوخمسة اعياد
অর্থঃ মু’মিন মুসলমানদের প্রতি মাসে চারটি অথাবা পাঁচটি ঈদ রয়েছে । অর্থাৎ পতিমাসে চারটি অথবা পাঁচটি সোমবার শরীফ হয়ে থাকে । তাকেও ঈদের দিন বলা হয়েছে । (কিফায়া শরহে হিদায়া ২য় খন্ড বাবু ছলাতিল ঈদাইন, হাশিয়ায়ে লখনবী আলাল হিদায়া)
-
অন্য হাদীছ শরীফ-এ উল্লেখ করা হয়েছে, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন-
للصاءم فر حتان فرحة عند فطره و فرحة عند لقاء ربه
অর্থঃ রোযাদারের জন্য দুটি ঈদ বা খুশি । একটি হলো তার প্রতিদিনের ইফতারের সময় । আর অন্যটি হলো মহান আল্লাহ পাক উনার সাক্ষাতের সময় । (বুখারী , মুসলিম , মিশকাত)
-
উপরোক্ত হদীছ শরীফসমূহ দ্বারা জানা গেল যে, শুক্রবার দিন, সোমবার দিন এবং আরাফার দিন এবং প্রতি রোযাদারের রোযা রাখার দিনটি হচ্ছে মসলিম উম্মাহর জন্য ঈদ যেভাবে হাদীছ শরীফ-এর দ্বারা প্রমাণিত ঠিক সেভাবেই তৃতীয় ঈদ হিসেবে “জুমুয়ার দিন আর চতুর্থ ঈদ হিসেবে সোমবার শরীফ এবং পঞ্চম ঈদ হিসেবে আরাফার দিন হাদীছ শরীফ দ্বারা প্রমাণিত । সুতরাং ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আদ্বহা ছাড়াও বছরে প্রায় ১৭৭/১৮০ টি ঈদ রয়েছে ।
-
আর তা হচ্ছে বছরে ৫২টি শুক্রবার + ৫২টি সোমবার শরীফ + রমাদ্বান শরীফ-এ ৩০টি + বাকী ১১ মাসের প্রতিমাসে ৩টি করে (১১*৩)=৩৩ টি + যিলহজ্জের ১ম ৯ দিন ৯টি + মুহার্ম মাসে ২টি + পহেলা রজব ১টি + ২৭ শে রজব ১টি + ১৫ই শা’বান ১টি অর্থাৎ (৫২+৫২+৩০+৩৩+৯+২+১+১) = ১৮০টি ঈদ রয়েছে । যা সবগুলোই হাদীস শরীফ দ্বারা প্রমাণিত ।”
-
অতএব, প্রমাণিত হলো যে, শরীয়তে দুই ঈদ ব্যতীত আরো বহু ঈদ রয়েছে । কাজেই, যারা বলে শরীয়তে দুই ঈদ ব্যতীত তৃতীয় ঈদের কোন অস্তিত্ব নেই তাদের কথা সম্পূর্ণই মিথ্যা ও কুরআন সুন্নাহর খিলাফ ও কুফরীমূলক বলে প্রমাণিত হলো ।
ভুয়া দলিল মুসলিম বছবে ঈদ ২ টা
ReplyDeleteলেখক মনে হয় আধা নয় পুরা পাগল কিতাব বুঝার যোগ্যতাই তো তার নায়।মাথামোটা কোথাকার
ReplyDelete