Posts

নির্বাচিত পোস্ট

লা’মাযহাবীদের তারাবীর ৮ রাকাতের পক্ষে একমাত্র দলীল, দলীল হিসাবে বিবেচ্য নয়।

হযরত আয়েশা ছিদ্দীকা আলাইহাস সালাম উনাকে কে জিজ্ঞাসা করা হলো, রমাদ্বান মাসে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নামায কেমন হত? তিনি উত্তরে বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমাদ্বানের এবং রমাদ্বানের বাইরে এগার রাকাতের বেশি পড়তেন না। (সহীহ বুখারী ১/১৫৪) এই হাদীস শরীফ খানা মূলত তাহাজ্জুদ নামাজের দলীল। কারন হাদীছ শরীফে বলা হচ্ছে রমাদ্বান ও রমাদ্বানের বাইরে ৩ রাকাত বিতির সহ ১১ রাকাত পড়তেন। রমাদ্বান মাস ব্যতীত অন্য মাসে তারাবী পড়া নেহায়েত হাস্যকর কথা। এখন যেহেতু সালাফীদের কাছে আর কোন দলীল নেই তাই তারা তাহাজ্জুকে তারাবী বলে চালাচ্ছে। এবার দেখুন অন্য একটি সহীহ হাদীছ শরীফে বর্ণিত আছে, حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ ، وَمُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ الْمُرَادِيُّ ، قَالاَ : حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي قَيْسٍ ، قَالَ : قُلْتُ لِعَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا : بِكَمْ كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يُوتِرُ ؟ قَالَتْ : كَانَ يُوتِرُ بِأَرْبَعٍ وَثَلاَثٍ ، وَسِتٍّ وَثَلاَثٍ ، وَثَمَانٍ وَثَلاَث...

ইসলামে জন্মদিন পালন করা কি প্যাগানদের থেকে এসেছে? ইহুদী, খ্রিস্টানদের কালচার? ইসলামী শরীয়ত জন্মদিন পালন সম্পর্কে কি বলে ?

Image
@ আরিফুল ইসলাম @ নামের এক সালাফী আহলে হাদিস মতাদর্শের ভাই তার স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেছে, ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং ইসলামে জন্মদিন পালন করা প্যাগানদের (পৌত্তলিক) সংস্কৃতি অনুকরণ-অনুসরণ করা। তার লেখায় জন্মদিনের যে প্রথা উল্লেখ করেছে সেভাবে আমরা ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করিনা। অন্য ধর্মের অনুসারে যেমন কেক কাটে, মোমবাতি জ্বালিয়ে, গানবাজনা করে, বেপর্দা-বেহায়া পানায় লিপ্ত হয়ে জন্মদিন পালন করা জায়েয নেই। শুধু জন্মদিন নয় যেকোন ক্ষেত্রেই হারাম ভাবে কোন কিছু করা ইসলামী শরীয়তে জায়েয নেই। এভাবে কিছু মানুষ জন্মদিন পালন করে দেখে ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্যাগানদের (পৌত্তলিক) সংস্কৃতি থেকে এসেছে বলে দাবী করাটা তার অজ্ঞতা প্রকাশ করে এবং গোমরাহী মূলক। [ পোস্ট আর্কাইভ লিংক http://archive.is/p39hI ] জন্মদিন পালনের সূচনা ইসলাম ধর্ম থেকেই। এটা সেও জানতে পারত যদি অন্য ধর্ম না খুঁজে, সম্মানিত ইসলাম ধর্মে খুঁজত বা একটু পড়াশুনা করত !! এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব তবে তার আগে কিছু বিষয়ে বলে নেই। প্রতিটা ধর্মের সাথেই অন্য কোন ধর্ম...

বাদশাহ আকবর প্রবর্তিত ইতিহাসের জঘন্য অধ্যায় দ্বীনে এলাহী ও তার পটভূমি।

Image
বাদশা আকবর প্রবর্তিত কুফরী "দ্বীনে এলাহী" উৎপত্তির প্রসংঙ্গিক কথা এবং একজন মুজাদ্দিদের আগমনের প্রেক্ষাপটে হযরত মুজাদ্দিদে আলফে সানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার আগমন এবং সুমহান তাজদীদ- মুঘল সম্রাট বাদশা আকবরের কথা আমরা সকলেই জানি। মুঘলদের মধ্যে সুদীর্ঘ সময় রাজত্ব করেছে এই আকবর। ধর্মীয় আবহে বেড়ে ওঠার পরও কিছু ক্ষমতালোভী, ধর্মব্যবসায়ী, সার্থপর আলেমদের সংসর্গে আকবর চুড়ান্ত ভাবে অধপতেন চরমসীমায় নিমজ্জিত হয়। আলোচ্য বিষয়ে আলোচনা করতে আমাদের সর্বপ্রথম আকবরের প্রাথমিক জীবনের অবস্থা এবং পরবর্তীতে তার অধপতনে নামার ইতিহাসের পর্যালোচনা করতে হবে। আকবরের পিতা মুঘল সম্রাট হুমায়ুনের মৃত্যুর সময় আকবরের বয়স ছিলো মাত্র তের বছর। হুমায়ুনের মৃত্যুর পর তার বিশ্বস্ত সহযোগী বৈরাম খান ১৫৫৬ সালের ১৪ ই ফেব্রুয়ারি তের বছরের আকবরকে মুঘল সম্রাট বলে ঘোষণা করে। নামে সম্রাট থাকলেও দেশ পরিচালনা ও অন্যান্য কাজ বৈরাম খানই করতো। ১৫৬০ সালে আকবরের বয়স আঠারো হলে, সে বৈরাম খানকে হজ্জ করতে পাঠিয়ে দিয়ে ক্ষমতা নিজ হাতে তুলে নেয়। প্রথমিক জীবনে আকবরের ধর্মীয় বিশ্বাস : (১) উলামা ও শাইখদের মহত স...