তাবলীগীদের টার্গেট কারা?






তবলিগ জামাতের একটা প্রচলিত কথা হচ্ছে, দেখুন আমাদের দলে কত লোক, কত লোক এখানে দাখিল হচ্ছে ইত্যাদি। অর্থাৎ সংখ্যাধিক্যের কথটা ফলাও করে থাকে। এখন আসলে আমাদের জানা দরকার কি কারনে এবং কিভাবে এদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটা জানতে পারলেই এদের দুই নম্বরী সহজেই ধরতে পারবেন। আসুন আমরা সরাসরি তাবলিগ জামাতের প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস মেওয়াতীর নিজের বক্তব্য থেকে কারনটা জেনে নিই,-

"আহলে এলেম (তাবলিগি খারেজী মুরুব্বী) ও প্রভাবশালী লোক (ব্রেইনওয়াস হওয়া অশিক্ষিত টাকাওয়ালা পাবলিক) তাহারাও এই তরীকায়ও তাবলিগের কাজ করিতে পারেন যে, প্রত্যেক জুমুয়ার জন্য একটা মসজিদ বাছিয়া লইবেন যে, আমরা অমুক মসজিদে নামাজ পড়িব। সেই নির্বাচিত মসজিদ এমন হওয়া চাই যেখানে সাধারণ গরীব তবকার মূর্খ লোকেরা বাস করে। যেমন- সেখানে ধোঁপা, ভিস্তি, রিক্সাওয়ালা, কুলি, বা শাক সব্জী বিক্রেতা লোকেরা বাস করে যাদের মধ্যে দ্বীনদারীর অভাব এবং গাফলত যদিও খুব বেশি কিন্তু অস্বীকার ও অহংকার এখনো পয়দা হয় নাই। এমন সব লোকের বস্তির একটা মসজিদ নির্বাচন করিবে ও নিজের বন্ধুবান্ধবদিগকেও সেখানে যাইবার জন্য উৎসাহ দান করিবে।"

দলীল-
√ মালফুজাত ৫৪ পৃষ্ঠা, ১১২ নং মালফুজ।
প্রকাশনা- তাবলিগ ফাউন্ডেশন,৫০ বাংলাবাজার, ঢাকা ১১০০।

এবার আসুন বিষয়টা সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা করা যাক।

(১) কিছু তাবলিগী প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত মৌলবী এবং এলাকার কিছু প্রভাবশালী লোককে দিয়ে তারা কাজের সূত্রপাত করে।

(২) তারা এমন জায়গা টার্গেট করে যেখানে মূর্খ এবং সমাজের নিম্নশ্রেনীর লোক বাস করে।

(৩) যেহেতু তাদের টার্গেট থাকে রিক্সাওয়ালা, শাক সব্জী বিক্রেতা, ধোপা, ইত্যাদি তাই সহজেই এদের ব্রেইনওয়াশ করে দেয়া যায়।

(৪) এরা আলেম এবং শিক্ষিত লোকদের এড়িয়ে চলে। কারন তারা এমন সব প্রশ্ন করবে যার কোনটার জবাব তাবলিগি আমীর দিতে পারবে না। তাই শিক্ষিত এবং উচ্চশ্রেনীর লোকদের পাশকাটিয়ে তারা সমাজের একদম নিম্নস্তরের লোক মার্ক করে। এই লোকদের পক্ষে আর যাইহোক, প্রশ্ন কিংবা তর্ক করার ক্ষমতা থাকে না। এরা সত্য মিথ্য যাচাই করার যোগ্যতা রাখে না তাই তাবলিগি আমীরের মিষ্টি কথায় এবং সহজে বেহেস্তে যাওয়ার লোভে তাবলিগে আত্মনিয়োগ করে। সেটাই ইলিয়াস বলেছে- "অস্বীকার ও অহংকার এখনো পয়দা হয় নাই।"

আর এভাবে একদম সাধারণ শ্রেনীর মানুষদের তারা বিভিন্ন ফায়দা ফযীলতে কথা বলে দলে ঢুকিয়ে দল ভারি করে। আপনারা খুব ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন, বিভিন্ন জায়গায় যে তাবলিগ বাহিনী চিল্লা দিতে যায় এদের বেশভূষা কথা বার্তা কেমন। এদের ৯৯% লোক বাংলা একটা বই রিডিং করে পড়ার সাধ্য নেই। এমন ধারনের মানুষ নিয়েই মিশন শুরু করে তাবলিগের গুরু ইলিয়াস এবং উত্তোসূরীরা। যেটা আজকে তাদের সংখ্যাধিক্যের কারন।
মনে রাখতে হবে এমন লক্ষ কোটি অযোগ্য মানুষ একজন ইলিম আমল ওয়ালা মানুষের কাছে কিছুই না। হাজার হাজার মেষ বা ভেড়া পালের রাখাল একজনই হয়। এক রাখালই সব ভেড়াকে খোয়ারে ঢুকানোর যথেষ্ট। আকল সম্পন্ন ব্যক্তির জন্য ইশারাই যথেষ্ট ।

Comments

Popular posts from this blog

বিদআতের পরিচয়, বিদআত কাকে বলে কত প্রকার ও কী কী বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

আরবীতে ‘কুল্লু/কুল্লুন’ শব্দের অর্থ হচ্ছে প্রত্যেক।কিন্তু সবসময় এ শব্দটি দ্বারা ‘প্রত্যেক/সকল’ অর্থ বুঝায় না।

তাবলীগ করা কি সবার জন্য ফরজ?